গোটা
সিরিয়ার দখল নিজের মুঠোয় না আসা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার
ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ শক্তিধর দেশগুলো শুক্রবার সম্মতির ঘোষণা দেওয়ার
পরপরই এএফপির প্রকাশ করা একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাশারকে এই ঘোষণা দিতে
দেখা যায়।
অন্যদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কয়েকটি গ্রুপ তাদের বলেছে রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তাদের আস্থা নেই। বিদ্রোহীরা মনে করে রাশিয়া তাদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করবে না। ফলে তারাও লড়াই চালিয়ে যাবে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যে সম্মতিতে পৌঁছেছে, তা কার্যকর করা নিয়ে বড় ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে।
এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার দামেস্কে তাদের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারটি দেন প্রেসিডেন্ট বাশার। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি তারা প্রকাশ করে।
অন্যদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কয়েকটি গ্রুপ তাদের বলেছে রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তাদের আস্থা নেই। বিদ্রোহীরা মনে করে রাশিয়া তাদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করবে না। ফলে তারাও লড়াই চালিয়ে যাবে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যে সম্মতিতে পৌঁছেছে, তা কার্যকর করা নিয়ে বড় ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে।
এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার দামেস্কে তাদের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারটি দেন প্রেসিডেন্ট বাশার। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি তারা প্রকাশ করে।
সাক্ষাৎকারে বাশার বলেন, তুরস্কের সীমান্ত ব্যবহার করে
বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের কাছে রসদ পৌঁছানো ঠেকাতে রুশ বিমান হামলার সহায়তায়
তাঁর সেনারা আলেপ্পোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর লক্ষ্য, পুরো সিরিয়ার দখল
নিজের মুঠোয় ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, তুরস্ক, জর্ডান, ইরাক দিয়ে
বিদ্রোহীদের কাছে রসদ সরবরাহ বন্ধ করা গেলে সিরিয়া সংকটের সমাধান এক বছরের
কম সময়ে করা সম্ভব। কিন্তু রসদ সরবরাহ বন্ধ না করা গেলে সংকট সমাধানে অনেক
সময় লাগবে। সিরিয়াবাসীকে এ জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
বাশারের আশঙ্কা, বিদ্রোহীদের মদদদাতা তুরস্ক ও সৌদি আরব তাঁর দেশে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।
বাশারের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, বাশার যদি মনে করেন সামরিক
উপায়ে সিরিয়া সংকটের সমাধান করা যাবে, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস
করছেন। টোনার প্রেসিডেন্ট বাশারকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেন।
সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক
পক্ষগুলো একমত হলেও এটি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে খোদ
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বক্তব্যে। শুক্রবার জন কেরি বলেই
ফেলেছেন, যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা বেশ উচ্চাভিলাষী। বিভিন্ন পক্ষ একে কতটা
সম্মান করে, সেটাই হবে এর আসল পরীক্ষা।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জন কেরি ও সের্গেই লাভরভ দুই
নেতাই স্বীকার করেন, এই মুহূর্তে এটা কেবল কাগজে-কলমে অগ্রগতি। কিছু
কূটনীতিক এরই মধ্যে বলেছেন, কাগজে ছাপা হওয়ার বাইরে এই সম্মতি বা
পরিকল্পনার কোনো মূল্য নেই।